।নূসরাত জাহান। ক্যামিলি ক্লুদেলের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল অগুস্তে রদ্যাঁ। আর শিল্পীর কাজ প্রেমকে রূপকের জালে জড়িয়ে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেওয়া। সমান্তরালে দৌড়াতে দৌড়াতে একসময় সেই রূপক হয়ে ওঠে মহা মূল্যবান। সাধারণেরা তখন সেই অমূল্য জিনিসটাকে মূল্য বসিয়ে হলেও বোঝার চেষ্টা করে অন্তর্নিহীত মর্ম। রদ্যাঁ আর ক্লুদেলের সেই রূপকের নাম ‘লা ইটারনাল প্রিনটেমপস’। প্রেম ও অভিসারের অজেয় ভাস্কর্যটি আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের এক নিলামে বিকোতে পারে ১০ লাখ ডলারে। নিলামের আয়োজকরা অন্তত এমন দামই আশা করছেন।
কিশোরী বয়সেই রদ্যাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ক্লুদেলের। শুরুতে সম্পর্কটা গুরু-শিষ্যের থাকলেও ক্লুদেলের চেয়ে ২৫ বছরের বড় রদ্যাঁ শেষে তার প্রেমিক হয়ে যান। অবশ্য ভাস্কর্যটিতে প্রেমের প্লেটোনিক ফর্মের চেয়ে শারীরিক প্রকাশেই বেশি মনোযোগী ছিলেন রদ্যাঁ। আর ১৮৮৪ সালে বানানো ভাস্কর্যটির সঙ্গে রদ্যাঁর চিরকূট সেটাই প্রমাণ করে। যাতে তিনি লিখেছিলেন- তোমার ওই অপরূপ শরীর, যার পূজারি আমি, দুই হাঁটু গেড়ে বসে যাই।’ আর এমন ব্যাকুলতার কারণেই বোধহয় দ্য কিস ও দ্য থিংকারের পর ইটারনাল প্রিনটেমপস-কেই বিবেচেনা করা হয় রদ্যাঁর সেরা শিল্পকর্ম হিসেবে।
অবশ্য রদ্যাঁর শরীরি দর্শনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ক্লুদেলের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই। ১৮৮০ সালেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘মানব শরীরের চেয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত প্রাকৃতিক বস্তু আর দ্বিতীয়টি নেই।’
লন্ডনের নিউ বন্ড স্ট্রিটের বনহ্যামসের নিলামে উঠতে যাচ্ছে ভাস্কর্যটি। তবে আয়োজকরা মিলিয়ন ডলার আশা করলেও কোনও ধনকুবের প্রেমিক প্রবরের কল্যাণে হয়তো এ দামের পেছনে যোগ হয়ে যেতে পারে একটা বাড়তি শূন্য।
সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
Leave a Reply